ঢাকা রেঞ্জের পক্ষ থেকে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এ দিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জীবন দিতে হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে জনসভা চলাকালে ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়।
১৭ বছর আগের এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ওই হামলায়। আজ সেই ২১ আগস্ট, রক্তাক্ত বিভীষিকাময় দিন।
২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। সাংবাদিকেরাও আহত হন।
ঢাকা রেঞ্জের পক্ষ থেকে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এই আশাবাদ ব্যাক্ত করা হচ্ছে যে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সকল রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে।