বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল: মির্জা আজম
বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।শুক্রবার রাজধানীর যাত্রবাড়ীর কাজলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্যা ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, উপ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদশ সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, গাজী সারোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক এমাদাদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পলিনসহ মহানগর ও বিভিন্ন ওযার্ডের নেতৃবৃন্দ।
মির্জা আজম বলেন, বিএনপি গত কয়েকদিন আগে একটা সমাবেশ করে বলেছে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেছে তারা কী গণতন্ত্র শিখাতে চায়। বিএনপি ষড়যন্ত্রের কথা বলে, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিএনপি অত্যাচারের কথা বলে, অথচ এই বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বাসায় থাকতে পারেনি, আহসানুল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়াসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা ছিল না যে মামলা দিয়ে অত্যাচার হয়রানি করে নাই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। জিয়াউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে।
‘শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। এক সময় বিশ্বের কাছে এদেশ ছিল দারিদ্র্য। সেই দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নে আজকে শেখ হাসিনা বিশ্বের রোল মর্ডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।’
মির্জা আজম বলেন, বিএনপি যতোই বলুক নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু না তাদের (বিএনপি নেতাকর্মী) ফেরানো যায় না। আপনার নির্বাচন করবেন না কিন্তু আপনারদের নেতাকর্মী ঠিক নির্বাচন করছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ২৪ জন কাউন্সিল অংশ নিয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতের শাসনামলের অন্যায় অত্যাচারের ফিরিস্তি তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন খালেদা জিয়া ও তারপুত্র তারেক রহমান। আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নিমর্ম নির্যাতন করেছে। তাদের (বিএনপির) শাসনামলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর বর্বব হামলা নির্যাতন আজও আমরা ভুলিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিরোধী জোট কিংবা তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো হামলা মামলা করেনি।
যুবলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাজীপুরসহ চলমান ৫ টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি বর্জন করেছে, কিন্তু এই নির্বাচন গুলোতে আজকে বিএনপি নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করছে। নির্বাচন বন্ধ করতে যতোই ষড়যন্ত্র করুন লাভ হবে না, এসব বন্ধ করে নির্বাচনে আসেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন।
আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করলে দেশের মানুষ আতঙ্কে থাকে। আমরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছি।
বিএনপির জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলার মাটি থেকে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করব। কোনো ষড়যন্ত্রে পা দেওয়া যাবে না। বিএনপির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপির জামায়াতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাফনের কাপড় মাথায় বেথে মাঠে নামতে হবে।