শিরোনাম

South east bank ad

পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে ব্যবস্থা: খসরু চৌধুরী

 প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন   |   এমপি

পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে ব্যবস্থা: খসরু চৌধুরী
আসন্ন রমজানে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্গত কোনো মার্কেট বা বাজারে কারসাজি করে কোনো নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ওই আসনের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘যারা পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মার্কেট কমিটিকে জবাবদিহিতায় আনা হবে।’

শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খসরু চৌধুরী।

ঢাকা-১৮ আসনে সব ধরনের চাঁদাবাজি, ফুটপাত দখল, অবৈধ স্থাপনা, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং এবং মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন, গণমাধ্যম, রাজউক এবং সিটি করপোরেশনের আরও সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই সংসদ সদস্য।

খসরু চৌধুরী বলেন, ‘আমার এলাকার সব ফুটপাতকে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। এ জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর এবং প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হয়ে আমাকে সহযোগিতা করার দাবি জানাচ্ছি।’

উত্তরা, উত্তরখান এবং দক্ষিণখানসহ ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন জায়গায় নিরব চাঁদাবাজি চলছে জানিয়ে খসরু চৌধুরী বলেন, ‘ফুটপাত দখল করে দোকান বা ভ্যান বসিয়ে অনেকে চাঁদা তুলছেন। আবার কেউ ব্যস্ত রিকশা বা অটো থেকে চাদা তুলতে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজরা যে দলেরই হোক, তাদের প্রতিহত করতে হবে। এরইমধ্যে আমি এসব চাঁদাবাজি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এসব পুরোপুরিভাবে বন্ধে আমি কাউন্সিলর এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’

তার সংসদীয় এলাকায় রেললাইনের পাশের সরকারি জমিতে এবং রাজউকের অনেক জায়গায় অবৈধ মার্কেট বা স্থাপনা করে একটা স্বার্থান্বেষী মহল দখল করে রেখেছে বলে জানান খসরু চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দ্রুত অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরি। এ বিষয়ে আমি রাজউক এবং সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’

খসরু চৌধুরী বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামও আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। এরইমধ্যে অনেক রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছে। তাই জনগণকে বলব, একটু ধৈর্য ধরুন। দক্ষিণখান-উত্তরখানসহ এই এলাকার সব রাস্তাঘাটের উন্নয়নে, মেয়রের চিন্তা ও পরিকল্পনাকে আমি বাস্তবায়ন করব।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নতুন আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং। কিছু গডফাদার এবং অসাধুচক্র এদেরকে মাদক বিক্রিসহ নিজেদের নানা স্বার্থে ব্যবহার করছে। কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। তাই এদের প্রতিহত করতে হবে।’

এ জন্য মাদক, সন্ত্রাস এবং কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরও জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান খসরু চৌধুরী। এদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবিও জানানা তিনি।

খসরু চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঢাকা-১৮ আসনকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি করা হচ্ছে। সর্বোপরি আমি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান করতে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় পূর্বক স্বল্প সময়ের মধ্যে টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আমি ঢাকা-১৮-কে সব আসনের মধ্যে সেরা করার প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ।’
BBS cable ad

এমপি এর আরও খবর: