প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলেছে, একদিকে যেমন বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। তবে প্রযুক্তির বর্জ্য সবুজ বিপ্লবের জন্য বড় হুমকি। সবুজ বিশ্ব করার জন্য প্রযুক্তির বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। তা করতে না পারলে সবুজ বিপ্লবের যে আন্দোলন, সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
স্থানীয় সময় শনিবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনে (কপ ২৯) এসব কথা বলে তারা।
কপ২৯ এর সভাপতি ও আজারবাইজানের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী মুখতার বাবায়েভ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলো জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা, শক্তি দক্ষতার উন্নতি এবং শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তির জন্য শক্তিশালী ডিজিটাল প্রযুক্তির সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। একই সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিস্তারের সাথে পরিবেশগত বিষয়টি জানতে হবে। এর মধ্যে বর্ধিত শক্তি খরচ, নির্গমন এবং ই-বর্জ্যের ক্রমবর্ধমান সমস্যা রয়েছে।”
বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, বর্তমানে বৈশ্বিক দূষণ নির্গমনের প্রায় চার শতাংশের জন্য দায়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত। আমাদের এই প্রভাব কমানোর জন্য কাজ করতে হবে।
আজারবাইজানের ডিজিটাল উন্নয়ন ও পরিবহন মন্ত্রী রাশাদ নাবিয়েভ বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা তৈরির ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, “ডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অন্যান্য ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করার ক্ষমতা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ তৈরি করেছে। এ সুযোগগুলো আমাদের ডিজিটাল খাত সম্প্রসারণে কেবল টেকসই নয় বরং অন্তর্ভুক্তিমূলকও হতে হবে। এ বিষয় নিশ্চিত করার জন্য আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা জানি, ডেটা প্রসেসিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সংযোগের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে বিদ্যুতের ব্যবহার, উপাদান ব্যবহার এবং ই-বর্জ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল ডোরেন বোগদান-মার্টিন বলেন, সবুজ ডিজিটাল পদক্ষেপের ঘোষণা বাস্তবায়নে পূর্ণ সমর্থন প্রয়োজন। আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো উপলব্ধি করেছে যে ডিজিটাল রূপান্তর এবং স্থায়িত্ব অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। এ কারণেই তারা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) দুটি কৌশলগত উদ্দেশ্যের একটি টেকসই ডিজিটাল রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।