মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

বিডিএফএন লাইভ.কম
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতের সহযোগিতার কারণে আমরা খুব সহজেই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিলাম।
৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং, অস্ত্র ও এক কোটি শরণার্থীকে খাবার, আশ্রয় দিয়ে ভারত সহযোগিতা করেছিল। দুঃসময়ের এই ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারবো না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক রক্ত দিয়ে লেখা।
গতকাল রোববার (২৭ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদারসহ প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ী ও ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
এছাড়াও অনলাইন গুজব প্রতিরোধ ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ল্যাপটপ বিতরণ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম সফল করতে সবচেয়ে যিনি বেশি ভূমিকা রেখেছেন তার নাম ইন্দিরা গান্ধী। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ভারতের জনগণ সর্বোপরি ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অপরিসীম।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশগুলোর মধ্যে অসাধারণ যোগসূত্র। মহান এই জাতির সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় চরম কষ্ট সহ্য করেছেন। বর্তমান প্রজন্ম এবং পরবর্তী প্রজন্ম তাদের কাছে চিরঋণী। স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী উভয় দেশের এসব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ও আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেই ও সম্মান করি।