South east bank ad

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে সাংস্কৃতিক বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে কাজ করেছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২২, ১২:২৯ অপরাহ্ন   |   মন্ত্রী

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে সাংস্কৃতিক বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে কাজ করেছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
বিডিএফএন লাইভ.কম

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত বহুমাত্রিক সম্পর্কে সাংস্কৃতিক বিনিময় সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে এবং বাস্তবতার নিরিখেই তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের দায়িত্ব এ বন্ধনকে নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে সুসংহত রাখা।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল (২৫ মার্চ) ভারতের আগরতলার হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত '৪০তম আগরতলা বইমেলা ২০২২' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

৪০তম আগরতলা বইমেলা ২০২২ উদ্বোধন করেন ভারতের ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ (স্পিকার) শ্রী রতন চক্রবর্তী।

প্রধান অতিথি বলেন, ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে বেগবান করতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গত মাসে ২য় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগরতলাতে সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিন আগে আমি নিজে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেছি যেখানে থিম কান্ট্রি ছিল বাংলাদেশ। 

কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর উপর ভিত্তি করে ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগোলের নির্দেশনায় নির্মিত হচ্ছে বায়োপিক যা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে। তাছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি তথ্যচিত্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ সকল কার্যক্রম প্রমাণ করে উভয় দেশ সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুফল ভোগ করছে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে। এর মধ্যে ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে স্থলবন্দর সহ রাস্তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। কে এম খালিদ বলেন, আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। নদীপথেও ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে। তিনি বলেন, এসব প্রকল্প চালু হলে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আমি মনে করি।

ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, আগরতলা পুর নিগম এর মেয়র দীপক মজুমদার ও ত্রিপুরা বিধানসভার বিধায়ক মিমি মজুমদার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এর সচিব ড. প্রশান্ত কুমার গোয়েল এবং আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের সহকারী হাইকমিশনার জনাব আরিফ মোহাম্মাদ।
Hossain

BBS cable ad

মন্ত্রী এর আরও খবর: