South east bank ad

সহিংসতায় ডিএমপির ২২ থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

 প্রকাশ: ২৪ অগাস্ট ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন   |   আইজিপি

সহিংসতায় ডিএমপির ২২ থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
ছাত্র-জনতার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। মাইনুল হাসান জানান, এই ঘটনায় পুলিশের বিপুল যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ শনিবার ‘কমিশনারস মিট দ্য প্রেস’-এ এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। ঢাকাবাসীকে উদ্দেশ করে কমিশনার বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাব।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত সংকটকালে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছি। বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়েছিল। ডিএমপিসহ সারা দেশে অনেক পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছেন। প্রাণভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। অনেক স্থানে আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ট্রাফিকের প্রায় সকল অফিস ও বক্স ভাঙচুর হয়েছে। ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক যানবাহন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠিত হয়েছে। এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন পুলিশ বাহিনী এর আগে কখনো হয়নি।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণের সহায়তায় আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল থানার কার্যক্রমসহ ট্রাফিক বিভাগ ও অন্যান্য সকল বিভাগের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সচল করা হয়।

ট্রাফিক জ্যাম এই মহানগরীর অন্যতম প্রধান সমস্যা বলেও উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার। বলেন, এই সমস্যা সমাধানে একদিকে দরকার সমন্বিত পরিকল্পনা, কার্যকরী উদ্যোগ ও অন্যদিকে সকল নগরবাসীর অকুণ্ঠ সহযোগিতা, সচেতনতা ও সতর্কতা। ছাত্রছাত্রী-স্কাউট, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে ঢাকা শহরসহ সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলেছেন। আমরা তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

ঢাকাবাসীকে উদ্দেশ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে আপনারা সহযোগিতা করুন। রোদ-বৃষ্টিতে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যদের অন্তত হাসিমুখে ধন্যবাদটুকু দিলে তারা আরও উজ্জীবিত হবে। ট্রাফিকের সকল স্টেকহোল্ডার আমাদের ট্রাফিক বিভাগকে সহায়তা করলে ট্রাফিক জ্যামকে আমরা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
BBS cable ad