South east bank ad

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ

 প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২৭ অপরাহ্ন   |   দেশ

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ
পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙা-মাওয়া পরীক্ষামূলক রেল চলবে আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ)। আর ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত সরাসরি যাত্রী নিয়ে রেলপথে ট্রেন চলবে আগামী সেপ্টেম্বরে। ঢাকা-যশোর রুট চালু হবে আগামী বছর। 

মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহম্মেদের বরাতে সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত সাড়ে ৪১ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করে দেখা হবে আজ। এ পথে সর্বোচ্চ গতি ১২০ কিলোমিটার থাকলেও টেস্ট রান চালানো হবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। 

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, ট্রেনটি মূলত নির্মিত রেলপথ ইন্সপেকশনের কাজে ব্যবহার করা হবে। এই ট্রেনে ভ্রমণ করে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন নির্মিত রেলপথসহ প্রকল্পের সার্বিক কাজ পরিদর্শন করবেন। পুরোপুরি চালু হওয়ার আগে এ রেলপথ দিয়ে আমরা প্রকল্পের বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করব।

আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে বলেও জানালেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুনে  ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথটি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 

২০৩০ সাল নাগাদ রেলপথটির ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে প্রতিদিন ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। একইভাবে ভাঙ্গা-কাশিয়ানী অংশে প্রতিদিন সাত জোড়া ও কাশিয়ানী-যশোর অংশে প্রতিদিন চলবে পাঁচ জোড়া ট্রেন। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে বছরে ৪০ লাখ, ভাঙ্গা-কাশিয়ানী অংশে বছরে ১৭ লাখ ও কাশিয়ানী-যশোর অংশে বছরে সাড়ে ১৩ লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। ওয়ান-ডিরেকশন বা একমুখী চলাচলের ওপর ভিত্তি করে প্রাক্কলনটি তৈরি করেছে সিআরইসি।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরনো রেল স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্র্যাকারটি রওনা হওয়ার কথা রয়েছে দুপুর ১২টায়। আর এটি পদ্মা সেতু অতিক্রিম করে দুপুর ২টায় মাওয়া স্টেশনে পৌঁছাবে। 

আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনই প্রথমবারের মতো সেতু অতিক্রম করছে। তবে ২৯ মার্চ সেতুর ২৫ নম্বর খুঁটির কাছে বাকি থাকা ৭ মিটার রেলপথ নির্মাণ শেষ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরও  রেল ট্র্যাক মহড়া হিসাবে সেতুতে চলাচল করেছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। আর পুরো প্রকল্প তদারকি করছে সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।  
BBS cable ad