আন্তর্জাতিক বন দিবস’ আজ

বিডিএফএন লাইভ.কম
প্রাচীনকালে মানুষ প্রচুর কাঠ ব্যবহার করত। দ্রাবিড় সভ্যতার বিকাশ সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়া যায়, তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কাঠের ব্যবহার।
এই সভ্যতার বিকাশে অরণ্য একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে। গোড়ার দিকে আর্যরা পশুপালন করত এবং পরে কৃষিতে আগ্রহী হয়।
তারা বসতি নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট এলাকার বন পরিষ্কার করত এবং অরণ্য ঘেরা পরিবেশে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলত। তাই প্রাচীণকাল থেকেই গাছ বা বন মানুষের বন্ধু হয়েই পাশে থেকেছে।
আজ সোমবার (২১ মার্চ) ‘আন্তর্জাতিক বন দিবস’। বন নিয়ে কথা বলার দিন আজ।
১৯৯২ সালে ‘রিও ঘোষণা’য় বন সৃজন ও রক্ষার্থে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় বন ও বনভূমির নিরাপত্তা রক্ষার্থে ২১ মার্চকে বিশ্ব বন দিবস ঘোষণা করা হয়।
সেই থেকে ২১ মার্চকে বিশ্ব বন দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। চলতি বছরও জাতিসংঘ বন দিবসের কার্মসূচি ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য এবং ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কিছু কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি নিয়ে ইতোমধ্যেই দেশের পরিবেশবাদিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করছে।
পরিবেশবাদীরা মনে করেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, শিল্পায়ন, কৃষি সম্প্রসারণ ও নগরায়নের ফলে বিশ্বব্যাপী বন ও বনভূমি হ্রাস পাচ্ছে। পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বন অপরিহার্য।
পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। এতে করে সমুদ্র উপকূলের নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আমাদের দেশের নিচু এলাকাও সাগরের লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এজন্য সারা বিশ্বে বনভূমি বৃদ্ধি করা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রতি বছর উজাড় হচ্ছে বনভূমি।