South east bank ad

ভালুকায় দাখিল পরীক্ষার্থীসহ দুই কিশোরীর আত্মহত্যা

 প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২২, ১০:৩৭ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ

ভালুকায় দাখিল পরীক্ষার্থীসহ দুই কিশোরীর আত্মহত্যা
ভালুকা প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ভালুকায় গলায় ফাঁস দিয়ে দাখিল পরীক্ষার্থী নাছিমা খাতুন (১৭) ও কিটনাশক পানে সুমি আক্তার (১৭) নামে দুই কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা দু’টি গত বুধবার উপজেলার সোয়াইল ও কৈয়াদী গ্রামে। এসব ঘটনায় মডেল থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সোয়াল পানিবান্ডা গ্রামের আব্দুর রশিদ সিকদারের কিশোরী মেয়ে সোয়াইল দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী নাছিমা খাতুন গলায় প্লাষ্টিকের রশি পেচিয়ে বসতঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

 স্থানীয়রা জানান, নিহতের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মনোয়ার হোসেন রবিনের ভিটায় রায়াত হিসেবে বসবাস করে আসছিলো। বেশ কয়েকদিন আগে মেয়েটিকে পাশের উথুরা গ্রামের রাজিব নামে এক ছেলের সাথে বিয়ে দেয়া হয়।

নিহত নাছিমা খাতুনের পিতা আব্দুর রশিদ জানান, তারা স্বামী স্ত্রী একটি এনজিও অফিসে গেলে মোবাইলে খবর পেয়ে বাড়ি গিয়ে দেখি ঘরের আড়ার সাথে দড়ি পেচিয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, ২০/২২ দিন আগে মেয়েটিকে বিয়ে দেয়া হয়।

অপরদিকে উপজেলার কৈয়াদী গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে সুমি আক্তার বাড়ির পাশে সানু মিয়ার কলার বাগানে কিটনাশক পান করে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে খোঁজ পেয়ে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বিকেলেই সুমি মারা যায়।

স্থানীয়রা জানান, সুমিকে এক বছর আগে বাড়ির কাছেই এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে হয়তো সে বাবার বাড়ি এসে কিটনাশক পান করে আত্মহত্যা করতে পারে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি, তবে এসব বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’
BBS cable ad