স্বাধীনতার সূবর্ন জয়ন্তীতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

“সকল ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমঅংশগ্রহন নিশ্চিত করি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবন্ধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে (১৮ই ডিসেম্বর) শনিবার সকাল ১০ টায় চুয়াডাঙ্গা ডিসি সাহিত্য মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন উত্তলনের মাধ্যমে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জনাব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বক্তব্যে তিনি বলেন বর্তমানের উন্নয়নের সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে গুরত্বসহকারে দেখছেন। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য সবসময় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিবন্ধী কোটা থেকে শুরু করে তাদের প্রাপ্য ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরও বলেন প্রতিবন্ধীদের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করছেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তিনিও তার মায়ের মত প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জনাব নজরুল ইসলাম সরকার বলেন প্রতিবন্ধীরা আমাদের বোঝা নয় তারা আমাদের সম্পদ। তাদের কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন দিয়ে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উদ্যোগ করেছেন। একসময় দেশে প্রতিবন্ধীদের কোন ব্যবস্থাই ছিলো না এখন সব ব্যবস্থা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান। বক্তব্যে তিনি বলেন অর্থনৈতিক মুক্তি হলেই কেবল প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন করা সম্ভব। সম্পদশালী মানুষদেরকে প্রতিবন্ধীদের পাশে দাড়ানোর জন্য আহবান জানান। প্রতিবন্ধীদের পাশে সার্বিকভাবে সহায়তা করার জন্য মিনিষ্টার মাই ওয়ান কোম্পানীকে সাধুবাদ জানান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পৌর মেয়র জাহাঙ্গাীর আলম মালিক খোকন,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপ- পরিচালক দীপক কুমার সাহা, প্রতাশ্যা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।এবং অনুষ্ঠানটি চারজন প্রতিবন্ধীদের মনোজ্ঞ নৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়।