চলছে জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা

খণ্দকার রবিউল ইসলাম, (রাজবাড়ী) :
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। সভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
বর্ধিত সভায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে.কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সানজিদা খানম প্রমুখ। রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সভা চলছে।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে.কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি তার বক্তব্যের শুরুতে আজকের সুন্দর ‘বর্ধিত সভার আয়োজন করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান কর্মকাণ্ড এবং আগামী দিনে আমাদের দলকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষে আলোচনা করবো। জেলা আওয়ামী লীগের সন্মানিত নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনবো এবং এখানে কোন সম আছে কিনা তাও শুনবো। এবং তার মাধ্যমে আগামীতে যে সম্মেলন হবে সেই সম্মেলনের প্রস্ততি কেমন হচ্ছে এটা নিয়ে আমরা মূল্যয়ান করবো। আপনারা জানেন যে আমাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন উপজেলা ও জেলাতে আমরা সম্মেলন করছি।যেখানে যেখানে সম্মেলনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তারই অংশ হিসেব ঢাকা বিভাগীয় টিম আজকে রাজবাড়ীতে আসছে। এর মাধ্যমে আমরা দলকে আরো শক্তিশালী করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি জননেত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিযে যাচ্ছে। এবং আগামী নির্বাচনের প্রস্ততি হিসেবে এই সম্মেলন করছি।
সভায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ১আসানের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আকবর আলী মর্জি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী সহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় নেতারা বর্ধিত সভায় উপস্থিত হলে, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা জিল্লুল হাকিম ও সাধরণ কাজী ইরাদত আলী ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের ছবি দিয়ে বানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা। মহাসড়কের প্রায় শতাধিক স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। জেলার বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে শুভেচ্ছাবার্তার ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে শহরকে। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব দলীয় নেতাকর্মীরা।