বাগেরহাটে ভোট বর্জন সহিংসতার মধ্য দিয়ে চলছে ভোট গ্রহন

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট বর্জন ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে চলছে ভোট গ্রহন। সোমবার সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া এই ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকাল সোয়া ১০টায় তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা করেন, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল (আনারস প্রতীক)। তিনি ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলা, নৌকায় জোর করে সিলমারা, এজেন্টদের মারধরসহ নানা অভিযোগে তোলেন।
অপরদিকে কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ রানা লালন (ঘোড়া প্রতীক) ভোট বর্জন করেছেন। দুপুর পৌনে ১২টায় এজেন্টদের মারধর, কেন্দ্র বের করে দেওয়া, নৌকা প্রতীক দেখিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা, ভোটারদের ভয় ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ এনে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এছাড়া, চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত রাতে, মোংলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক মহিলা নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে ৪ জন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর ২২ জন সদস্যের পাশাপাশি প্রতিটিউ পজেলায় ৩ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৩টি টহল টিম, ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজি বেনজির আহমেদ বলেন, বাগেরহাট জেলায় প্রথম ধাপে ৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৭০ টিতে নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। করোনার কারনে দুই দফা পিছিয়ে (স্থগিত) থাকা অবস্থায় ৩টি ইউনিয়নে প্রার্থী মারা যাওয়া, একটিতে মামলায় ও একটি ইউনিয়নের সব পদের একক প্রার্থী বিনা ভোটে আগেই নির্বাচিত হওয়ায় এই ৫টি ইউনিয়নে ভোট হচ্চে না। ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন ১০০ জন, সদস্য প্রার্থী আছেন দুই হাজার ২৫৫ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী রয়েছেন ৭৬৮ জন। নির্বাচনে ৫৯৯টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা দুই হাজার ৮১৯টি। জেলার সব কেন্দ্রেকেই ঝুঁকিপূর্ন ঘোষণা করে নির্বাচন শান্তিপূর্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।