South east bank ad

জাল রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগিয়ে কৌশলে চলছে বিড়ির ব্যবসা

 প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:১০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

জাল রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগিয়ে কৌশলে চলছে বিড়ির ব্যবসা
মো: আব্দুস ছাত্তার, (ফুলবাড়িয়া) : 

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় জাল রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে বিড়ির ব্যবসা। মিষ্টি ও পাখা বিড়ি বিক্রেতা প্রতারক চক্র কৌশলে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফলে ফ্যাক্টরী মালিকরা রাতারাতি কালো টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন আর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণাংশে টাঙ্গাইল জেলা। এখানে আছে বিভিন্ন ধরনের বিড়ির কোম্পানী। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে এইসব বিড়ির মালিকরা নিজেদের রাতারাতি বড়লোক বানাতে উপজেলা সদরে না এসে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিড়ি বিক্রি করে। বিড়ি বিক্রেতারা অধিক মোনাফার আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের ছোট বাজারগুলোতে রাতের আধারে বিড়ি ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন।

বিড়ি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি প্যাকেট বিড়ির গায়ে ৮ টাকা ৩০ পয়সা স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও আয়কর মোট ৯টাকা ৩০পয়সা ব্যান্ডরোল (মূসক) লাগিয়ে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ১৮টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ও ফ্যাক্টরীর মালিকরা তা অমান্য করে বেপরোয়াভাবে জাল ও নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে তা খুচরা পর্যায়ে ৮টাকায় বিক্রি করছে। যেখানে সরকারী রাজস্ব ৯টাকা ৩০ পয়সা সাথে প্যাকেট, পাতা ও অন্যান্য খরচ থাকার কথা সেখানে কিভাবে তারা এত কম টাকায় বিড়ি বিক্রি করেন। অসাধু এ চক্রটি রাত্রিতে পিকআপ সহ বিভিন্ন বাহনে  প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট বাজারে পৌছে দিচ্ছে জাল ও পুরাতন ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি। গভীর রাতে ভাড়া করা ঘর ও নিজ বাড়ীর একাংশে এসকল বিড়ি রেখে আইসক্রিম বিক্রির বাক্সের ন্যায় বাক্স বানিয়ে বাহির দিয়ে ককসিট দিয়ে ঢেকে রেখে এলাকায় ফেরি করে বিড়ি বিক্রির কৌশল দেখা গেছে।

উপজেলার বাকতা ইউনিয়নের কুলুরচালায় মিষ্টি বিড়ি বিক্রি করেন হযরত আলীর পুত্র আলামিন। কখন বিড়ি নামানো হয় এখনো বুঝা যায়নি। তবে তিনি ককসিটের পেছানো আইসক্রিম বাক্সের ন্যায় একটি বাক্সে আইসক্রিমের বদলে বিড়ি করেন। ৮টাকায় বিক্রি করা ঐ বিড়ি গায়ে ৯টাকা ৩০পয়সার ব্যান্ডরোল (মূসক) লাগানো থাকলেও বিড়ির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬টাকায়। তাহলে তিনি কেন ঘাটতি দিয়ে বিড়ি করছেন? এর উত্তর কি আছে?

হরিরামবাড়ী আ. আজিজ এর পুত্র ফরহাদ হোসেন। অতি গোপনে কয়েলের বাক্স ও অটো ভ্যানযোগে ফেরি করে মিষ্টি বিড়ি দোকানে দোকানে পৌঁছে দিচ্ছেন।

নাওগাও ইউনিয়নের শিবপুর ও বালুঘাট বাজারে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি পাখা বিড়ি বিক্রি করেন রেজু। খুব বেশি চালাক সে। কয়েক প্যাকেট সামনে রাখেন বাকীগুলো থাকে পাটের বস্তায়। কৃষ্টপুর আন্তাজ আলীর পুত্র আ. আজিজ পাখা বিড়ি বিক্রি করেন একই কায়দায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, যেহেতু সরাসরি তারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
BBS cable ad