প্রতিশ্রুতির ভান্ডার নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

মোঃ লিহাজ উদ্দিন, (পঞ্চগড়) :
দু দফা স্থগিতের পর ২০শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের গণসংযোগ আর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে। প্রতিশ্রুতির ভান্ডার নিয়ে প্রার্থীরা ছুটেছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। শহরের রাস্তাঘাট, অলিগলি ও পাড়া-মহল্লা এখন মিছিল আর স্লোগানমুখর। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বসতবাড়িতেও এখন আলোচনার বিষয় শুধু নির্বাচন। প্রার্থীরা ভোট চেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন তাদের নির্বাচনী এলাকা।
প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পরিছন্ন আধুনিক পৌরসভা গড়ার। প্রত্যেকেই নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। আর ভোটাররা বলছেন, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তারা।
নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতিক নিয়ে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও আরো আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ব্যাপক গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন। তিনি জানান, নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌরসভার সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে আধুনিক পৌরসভা গঠনের প্রতিশ্রুতিও দেন।
গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি পন্থী মেয়র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির ২৪ বছরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এফ এস এম মোফাকখারুল আলম বলেন, আমার বিশ্বাস সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হলে পৌরবাসী আমাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করবেন। তবে ইভিএমএ ভোট দেয়ার পর ফলাফল পরিবর্তনের শঙ্কা রয়েছে।
একইভাবে নিজ নিজ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন মেয়র পদের অন্যান্য প্রার্থীরা।
কাউন্সিলর প্রার্থীরাও সবাই নিজ নিজ প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন।
পিছিয়ে নেই মহিলা প্রার্থীরা। তারাও ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
দেবীগঞ্জ পৌরসভার ভোটার ১০ হাজার ৯১৪ জন। নয়টি কেন্দ্রে ৩২ টি বুধ স্থাপন করে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দেবীগঞ্জ সদর ও দেবীডুবা ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে ২০১৪ সালে গঠিত হয় দেবীগঞ্জ পৌরসভা। সীমানা জটিলতায় দীর্ঘদিন নির্বাচন ঝুলে থাকার পর এবার অবসান ঘটবে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে প্রথম বারের মতো দেবীগঞ্জ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে নয়জন, কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।