ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে চান টুকু মিজি

রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ২০২১সালের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিন উদ্দিন আহাম্মেদ টুকু মিজি।তিনি জানান, দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছেন।ইতোমধ্যে তিনি আগাম প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।টুকু মিজি ১৯৫৪ সালে মিজানপুর ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
স্থানীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর অভিমত টুকু মিজি শুধু একটি নাম নয়,মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি ব্র্যান্ড।যার অক্লান্তিক পরিশ্রমে মিজানপুর আওয়ামী লীগ আজ সুসংগঠিত হয়েছে বলে দাবি তাদের।পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রমও করেছেন গতিশীল।
জন্মসূত্রে তিনি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, ১৯৮৫ সালে মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়।১৯৮৬ সালে ততকালিন যুবলীগের আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন মোঃ টুকু মিজি।১৯৮৭ সালে মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেন, আজ পর্যন্ত ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এবার ইউনিয়নবাসী’রা বলছেন, মহামারি করোনাকালীন সময়ে সততা, দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বদা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন দলের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রান টুকু মিজি। নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ তাঁকে চেয়ারম্যান পদে দেখতে চান। জনগণের এ আবদার রক্ষার্থে টুকু মিজি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্ততি নিয়েছেন।
করোনা মহামারিতেও গতবছর থেকেই মিজানপুর ইউনিয়নের অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে সহায্য সহযোগিতা অব্যহত রেখেছেন।টুকু মিজি টানা ৩৫বছর যাবত নিষ্ঠার সাথে মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করে আসছেন।টুকু মিজি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়জিত রেখেছেন যে কারনেই তিনি এলাকায় দানবির মানবতার ফেড়ি আওয়ালা হিসেবেও পরিচিত লাভ করেছেন।
সম্মেলনের মাধ্যমে বার বার কাউন্সিলারদের ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক তিনি। জীবনের দীর্ঘ ৩যুগ সময় ধরে আওয়ামী পরিবারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে তার দায়ীত্ব পালন করে যাচ্ছেন টুকু মিজি। ।মিজানপুর ইউনিয়নে মসজিদ,মাদ্রাসা,কবরস্থান,মন্দির সহ সামাজিক কর্মকাণ্ড কাজে সার্বিক সহযোগিতার হাত বারিয়ে দেন তার সাধ্যমত।
নৌকা প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী আমিন উদ্দিন আহাম্মেদ টুকু মিজি বলেন, আমি দীর্ঘ সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার প্রিয় অভিভাবক রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী ও রাজবাড়ী এক আসনের এমপি কাজী কেরামত আলীর হাতেকে শক্তিশালী ও উন্নয়ন মূলক কাজ গুলো আরো গতিশীল করতে ও জনগণের যে সমস্য গুলো আছে, সেগুলো সমাধান করতে আমি প্রার্থী হয়েছি। মিজানপুর ইউনিয়নবাসীর সেবক হতে চাই আমি।তিনি আরো বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে জনগণের পাশে দাড়াতে চাই এবং তাঁদের সুখ দুঃখ ও বিপদ-আপদে পাশে থাকতে চাই। আগামী ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সমর্থন আছে আমার প্রতি।টুকু মিজি বলেন, জাসদের তান্ডব,এরশাদের শৈর-শাসন এবং জামাত-বিএনপির শাসন আমলে জুলুম অত্যাচার, ১৩ টি মিথ্যা মামলা,হামলা প্রতিহত করে, আজ মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছি।
মিজানপুর ইউনিয়নবাসী দলমত নির্বিশেষে সমর্থন দিয়েছেন আমাকে।ইনশাআল্লাহ মমতাময়ী নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকেই নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনিত করবেন এটা আমার বিশ্বাস।এবং আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে জননেত্রীকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান উপহার দিতে পারবো।তিনি আরো বলেন, সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্ব পাওয়ার আগে থেকেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছি।সব সময়ই বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকার উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজ করে মানুষের সঙ্গে মিশে রয়েছি। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমি ইউনিয়নবাসীর জন্য আমার বাকি জীবনটা উৎসর্গ করব।
মিজানপুর ইউনিয়নকে আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি দীর্ঘ সময় মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করিছ এই সময় কালে তথা স্বাধীনতার পর থেকে দেখেছি মিজানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিরোধীরাই ক্ষমতায় এসেছে।কিন্ত আমাদের ইউনিয়নবাসীর আশা পুরণ হয়নি বা কেউই করতে পারেনি।বা এই ইউনিয়নের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি।কখনো কোন দিন জনপ্রতিনিধি হতে চাইনি।কিন্ত এবার মিজানপুর ইউনিয়নবাসীর দাবির মুখেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি আশা করি দলের প্রতি আনুগত্য, বিশ্বস্ততা এবং জনসেবার কারণে আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে। আর মনোনয়ন পেলে প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী ও রাজবাড়ী এক আসনের এমপি কাজী কেরামত আলীর উন্নয়নে অংশীদার হতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত মিজানপুর ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব এবং সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।’
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ নিজ অর্থায়নে করে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন।এছাড়া তিনি একাধারে একজন সমাজপতি, রাজনীতিবিদ, সালিশ ব্যক্তিত্ব । রাজনীতির পাশাপাশি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে নিজেকে একজন জনবান্ধব নেতা হিসাবে গড়ে তুলেছেন।