শিরোনাম

South east bank ad

নাফিসা কামালের অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

 প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন   |   সিআইডি

নাফিসা কামালের অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা


মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির নামে প্রতারণা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী নাফিসা কামালসহ ৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পক্ষ থেকে গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২)/৪(৪) ধারায় মামলা (নং-৫১) দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।


সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় জনশক্তি প্রেরণের সময় সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা আত্মসাৎ করেন।


অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন— অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী নাফিজা কামাল, ইরভিং এন্টারপ্রাইজের হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, আমান এন্টারপ্রাইজে রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের জসিম উদ্দিন আহমেদ, আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মো. আকতার হোসাইন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস (প্রা.) লি. এর

শিউলী বেগম, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের কাউসার মৃধা ও রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ বশির।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে অভিযুক্তরা জনপ্রতি প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন। পাশাপাশি পাসপোর্ট, মেডিকেল ও অন্যান্য খরচের অজুহাতে অতিরিক্ত ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে সংগ্রহ করা হয়। সব মিলিয়ে জনপ্রতি ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে মোট ৩৩ কোটি টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

সিআইডি জানিয়েছে, মামলার তদন্তে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অপরাধে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
BBS cable ad

সিআইডি এর আরও খবর: