South east bank ad

শুভ জন্মদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল কালাম আব্দুল মোমেন

 প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট ২০২১, ০৫:০০ অপরাহ্ন   |   জন্মদিন

শুভ জন্মদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল কালাম আব্দুল মোমেন
দক্ষ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, আধুনিক, উন্নত, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত যোদ্ধা।
আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিডিফিন্যান্সিয়ালনিউজলাইভের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল কালাম আব্দুল মোমেন। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৩শে আগস্ট বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ ছিলেন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা। তার মা সৈয়দা শাহার বানু ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং সিলেটে নারী জাগরণের অগ্রদূত। তার ভাই আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আব্দুল মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে বি.এ এবং ১৯৭১ সালে উন্নয়ন অর্থনীতিতে এম.এ অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ পাস করেন। এরপর ১৯৭৬ সালে ঢাকার সেন্ট্রাল কলেজ থেকে আইনশাস্ত্রে এলএলবি অর্জন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তার লেখাপড়া চালিয়ে যান এবং নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস থেকে ১৯৮৮ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
আবুল কালাম আব্দুল মোমেন একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব এবং ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত শিল্প ও বাণিজ্য এবং খনিজ সপম্পদ ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। 
তিনি মেরীম্যাক কলেজ, সালেম স্টেট কলেজ, নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়, এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট এ অর্থনীতি ও ব্যবসায় প্রশাসন পড়িয়েছেন।
১৯৯৮ সালে তিনি সৌদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এসআইডিএফ)-এর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে রিয়াদ কম্পাউন্ড বোমাহামলার সময় তিনি সৌদি আরব ত্যাগ করে ম্যাসাচুসেটসে এ ফিরে আসেন। সেখানে তিনি ফ্রেমিংহ্যাম স্টেট কলেজের অর্থনীতি ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে পড়াতেন। ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি নিযুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানে শিক্ষকতা চালিয়ে যান।
২০১০ সালে তিনি ইউনিসেফ কার্যনির্বাহী পরিষদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আবুল কালাম আব্দুল মোমেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭ তম অধিবেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০১৪ সালে জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে ছিলেন।
মোমেনের বড় ভাই আবুল মাল আবদুল মুহিত আর নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তাকে সিলেট-১ আসনে তার উত্তরসূরি হিসেবে দেখতে চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। আব্দুল মোমেন ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে সিলেট-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত শুক্রবার ২০ আগস্ট দক্ষিণ সুদানের উয়াউ প্রদেশে মোতায়েন বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট (বিএনবিএটিটি ৪) পরিদর্শনে যান ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শান্তিরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্তদেরও তিনি প্রশংসা করেন।
এ সময় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা উয়াউ প্রদেশের স্থানীয় জনগণের সহায়তার জন্য চিকিৎসাসেবা এবং পশু চিকিৎসার মতো সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজ করেছেন। সফরকালে উয়াউর স্থানীয় সরকার ও প্রাদেশিক মন্ত্রীরা প্রদেশের ইউএনএমআইএসএস কম্পাউন্ডে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। দক্ষিণ সুদান সরকার রাজধানী জুবায় বাংলাদেশের নামে একটি সড়কের নামকরণ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিশ্বজুড়ে দেশগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা বিতরণ করা। তা সে দেশ ধনী বা দরিদ্র, যা–ই হোক না কেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুব দুঃখজনক যে অনেক ধনী দেশ বিপুল পরিমাণ টিকা মজুত করেছে। তারা সেগুলো দরিদ্র দেশগুলোকে দিচ্ছে না। টিকা হওয়া উচিত জনগণের সম্পদ এবং তা কোনো বৈষম্যহীনভাবে সব দেশে বিতরণ করা উচিত।’
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়া উচিত নয়। এই অনুসন্ধান যথাযথ হওয়া উচিত।
করোনার উৎস অনুসন্ধান নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে বেইজিংয়ের টানাপোড়েন চলছে অনেক দিন ধরেই। চীনের উহানের পরীক্ষাগার থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ে বলে সন্দেহের কথা বলে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ। এই অনুসন্ধানে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষাগার পরিদর্শনের অনুমতি দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু নিয়মের মধ্যে পড়ে না জানিয়ে সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন ওই কথা বললেন।
সিনহুয়া গত শনিবার ২১ আগস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের জন্য ১৬ আগস্ট সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ওই অনুষ্ঠানের ফাঁকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার উৎস ও কারণ উদ্ঘাটনের বিষয়টি বিজ্ঞানীদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত বলে মনে করি।’ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যেকোনো তদন্তের ফল বিপর্যয় ডেকে আনে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর দৃষ্টান্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে অভিযানের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি প্রথমত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। তারপর বলা হয়, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। এর পক্ষে ভুয়া তথ্য ও ছবি হাজির করা হয়। এগুলো দিয়ে পুরো বিশ্বকে বিভ্রান্ত করে বিশ্বাস করানো হয় যে ‘বিষয়টি সত্য’।
তিনি বলেন, কিন্তু ইরাক দখলের পর তারা দুই বছরের বেশি সময় ধরে তার ছিটেফোঁটা বের করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করল।
করোনা মহামারি প্রতিরোধের লড়াইয়ে সহযোগিতার জন্য চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এ কে আব্দুল মোমেন। এই মহামারির সময়ে চীন–বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই তারা আমাদের প্রতি খুবই সহায়তার মনোভাব দেখিয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই মহামারির শুরুর দিকে চীন যখন নিজেরা বিপদে ছিল, তখন দেশটিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশ যখন সমস্যায় পড়েছে তখন চীন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিগুলো সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। আমাদের চীনের মতো ভালো একটি বন্ধু আছে।
BBS cable ad

জন্মদিন এর আরও খবর: