এক মাসে বিজিবির অভিযানে জব্দ ১৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার চোরাচালান সামগ্রী
 
                                                                                                বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জুন মাসে মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান সামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার (২ জুলাই) এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮৩ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ৮৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক, ৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৩৭ জন  মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
জব্দকৃত চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে— ১১ কেজি ২২৮ গ্রাম সোনা, ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৭ হাজার ১৬৮টি ইমিটেশন গহনা, ২২ হাজার ৩২০টি শাড়ি, ২ হাজার ৬৫৮টি থ্রিপিস/লেহেঙ্গা/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ১ হাজার ৭৯৩টি তৈরি পোশাক, ২ হাজার ৫২৬ ঘনফুট কাঠ, ৮ হাজার ৮২৯ কেজি চা পাতা, ২২ হাজার ৫০ কেজি কয়লা, ১ হাজার ৯১৭ কেজি কারেন্ট/সুতার জাল, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৬০ কেজি কচ্ছপের হাড়, ৭২৫ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ৬টি ট্রাক, ১৪টি পিকআপ/ট্রাক্টর/ট্রলি, ২টি বাস, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৮টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৬টি মোটরসাইকেল। 
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১টি মর্টার শেল, ১৬ রাউন্ড গুলি এবং ১০ কেজি পেট্রোল বোমা তৈরির পাউডার। 
এছাড়া গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করে। জব্দকৃত মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে— ১৪ লাখ ৬১ হাজার ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭ কেজি ৩৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ২৬ কেজি ৩ গ্রাম হেরোইন, ১৫ হাজার ৩৭৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৭৯৩ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৫৩৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৫৮ কেজি গাঁজা, ৮ লাখ ৫ হাজার ৫৩৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪ বোতল লাইসার্জিক এসিড ডাইইথাইলঅ্যামাইড (এলএসডি), ৪৯ হাজার ৯১৭টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন/ট্যাবলেট, ২ হাজার ৫৪৬টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ২ হাজার ১০২টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৫১০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ পিস বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ১ লাখ ২৯ হাজার ৪১৭টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
                                

 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                  
 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            