South east bank ad

মুনিয়া-শারুন আলাপ কী প্রমাণ করে?

 প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন   |   প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

মুনিয়া-শারুন আলাপ কী প্রমাণ করে?
মৃত্যুর আগে মুনিয়া-শারুনের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে কিছু আলাপচারিতা নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। এই আলাপচারিতার সঙ্গে বর্তমান মামলার সম্পর্ক রয়েছে বলেই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। মৃত্যুর আগে শারুনের সঙ্গে মুনিয়ার মেসেঞ্জারে কথা বিনিময় হয়েছে। মেসেঞ্জারে মুনিয়া এবং শারুনের এই মেসেজগুলো পর্যালোচনা করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। সেই মেসেজে মুনিয়াকে শারুন বলেছেন যে, তোমার কিছু হলে বসুন্ধরা গ্রুপ শেষ হয়ে যাবে। তাহলে কি বসুন্ধরা গ্রুপ কে শেষ করার জন্যই মুনিয়ার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে? এই প্রশ্ন এখন তদন্তের অন্যতম উপজীব্য বিষয় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

উল্লেখ্য যে, গত ২৬ এপ্রিল গুলশানে একটি ফ্ল্যাটে মুনিয়া মৃত্যুবরণ করেন। মুনিয়ার মৃত্যুর পরপরই তার বড় বোন নুসরাত বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। অপমৃত্যু মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে একমাত্র আসামি করা হয়। কিন্তু তিন মাস তদন্তের পর গুলশান থানা পুলিশ এই মামলার অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি এবং তারা সত্যতা না পাওয়ার প্রেক্ষিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নুসরাত নারাজি দরখাস্ত দেন এবং নারাজি দরখাস্তের উপর শুনানির পর আদালত নুসরাতের নারাজি আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর নুসরাত বসে থাকেননি। তিনি এবার বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি, চেয়ারম্যানসহ ঘটনার সঙ্গে কোনো রকম সংশ্রববিহীন একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। প্রথমে তিনি করলেন আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা। তারপর করলেন হত্যা ও ধর্ষণের মামলা। এখান থেকেই প্রশ্ন উঠেছে যে, তাহলে কি এই মামলার পিছনে কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ রয়েছে বা কারো স্বার্থ উদ্ধারের জন্য একের পর এক মামলা করা হচ্ছে?

বিশেষ করে নুসরাত যখন আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছিলেন তার পরপরেই নুসরাতের ভাই আরেকটি মামলা করেছিল সিএমএম আদালতে। সেই মামলায় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য চট্টগ্রামের হুইপ পুত্র শারুনকে দায়ী করেছিলেন। কিন্তু তখন আদালত বলেছিল যে প্রথম মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। কিন্তু এই মামলাটি থাকা অবস্থায় এখন তৃতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাহলে কি বসুন্ধরা গ্রুপকে ঘায়েল করার জন্যই এই তৃতীয় মামলা করা হয়েছে? যেটি শারুন আগে থেকেই জানতো এবং এরকম একটি ঘটনার ব্যাপারেই সে মুনিয়াকে ইঙ্গিত করেছিল। তার মানে কি এই দাঁড়ায় যে, মুনিয়াকে হত্যা করে বা মুনিয়ার মৃত্যুর কারণ ঘটিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপকে ফাঁসানো একটি পরিকল্পিত চেষ্টা ছিল? অন্তত শারুন এবং মুনিয়ার মেসেজ বিনিময়ের মধ্যে সেই তথ্যটি বেরিয়ে আসে। কারণ, যে সময় মুনিয়া এবং শারুন মেসেজ আদান-প্রদান করেছিলেন সে সময় শারুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা তদন্তাধীন ছিল। যে মামলাটি এখনো তদন্তাধীন আছে।

এ মামলার বাদী ব্যাংকার মোরশেদের স্ত্রী দাবি করেছেন যে, শারুনের অত্যাচার এবং চাপের কারণেই তার স্বামী মোরশেদ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এটি নিয়ে যখন সারা দেশে তোলপাড় চলছে তখনই মুনিয়ার মৃত্যু ঘটানো হলো। তার মানে কি শারুনকে বাঁচানোর জন্য মুনিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছে? মুনিয়াকে হত্যা করে বা মুনিয়ার মৃত্যু ঘটিয়ে পরো ঘটনাটা বসুন্ধরার উপর চাপিয়ে সকলের দৃষ্টি অন্য দিকে নেয়ার কোনো প্রচেষ্টা কি আছে? এই বিষয়গুলো এই মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বলে অনেকে মনে করছেন এবং এ বিষয়গুলো তদন্তের দাবী রাখে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবী করছেন।
BBS cable ad

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ এর আরও খবর: