চট্টগ্রামে আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড বেসের উদ্বোধন, ৪০৭জি এক্সআই হেলিকপ্টার অন্তর্ভূক্তি
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক উদ্যোগের কারণেই শাহ আমানত বিমানবন্দর, চট্টগ্রামে আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড বেস নির্মাণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ২টি বেল ৪০৭ জিএক্সআই হেলিকপ্টার আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বহরে অন্তর্ভুক্তি সম্ভব হয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আকাশপথে সহযোগিতা জোরদার করতে চট্টগ্রামে আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড বেস স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে আর্মি এভিয়েশনে যুক্ত হয়েছে দুটি বেল ৪০৭ জিএক্সআই হেলিকপ্টার।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফরোয়ার্ড বেস ও নতুন দুইটি হেলিকপ্টার উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সেনাবাহিনী বলছে, এই ফরোয়ার্ড বেস স্থাপনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলে আকাশপথে সহযোগিতা দেওয়া আগের চেয়ে সহজ হবে এবং এতে ব্যয় অনেক কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং আন্তরিকতায় জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক উদ্যোগের কারণেই শাহ আমানত বিমানবন্দর, চট্টগ্রামে আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড বেস নির্মাণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ২টি বেল ৪০৭ জিএক্সআই হেলিকপ্টার আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বহরে অন্তর্ভুক্তি সম্ভব হয়েছে।’
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য সেনাবাহিনীর আভিযানিক কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে উড়োজাহাজ দিয়ে সহায়তা দেওয়া।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে লালমনিরহাট ও চট্টগ্রামে পৃথক দুইটি এভিয়েশন বেস স্থাপনের অনুমোদন দেয় সরকার। সেই হিসেবে শুরু হয় কার্যক্রমও। এরআগে, গতবছরের ৩ মার্চ লালমনিরহাট সেনানিবাসে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের নবনির্মিত হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়।
আধুনিক সেনাবাহিনী গঠনের ধারাবাহিকতায় আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়েছে দুইটি অত্যাধুনিক বেল ৪০৭ জিএক্সআই হেলিকপ্টার। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই হেলিকপ্টারগুলো নবীন বৈমানিকদের প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও বিভিন্ন আভিযানিক প্রয়োজন যেমন বিমান হতে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ এবং স্কাউট হেলিকপ্টার হিসেবেও এই হেলিকপ্টারগুলো ব্যবহার করা যাবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি