আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রীসহ ১৮ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিসহ ১৮ জনকে নতুন করে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে প্রথমে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানির সময় এজলাসে তোলা হয়।
আসামিদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, আ স ম ফিরোজ, দীপু মনি, শাহরিয়ার কবির, এনএসআই-এর সাবেক পরিচালক মনিরুল ইসলাম ও ডিবি পুলিশের সাবেক ডিসি মশিউর রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায়, আনিসুল হককে যাত্রাবাড়ী থানার তিন মামলায়, কামরুল ইসলামকে লালবাগ থানার এক মামলায়, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুকে যাত্রাবাড়ী থানার চার মামলায়, হাজি সেলিমকে বংশাল থানার এক মামলায়, সাদেক খানকে আদাবর থানার এক মামলায়, এ বি এম ফজলে করিমকে কোতোয়ালি থানার এক মামলায়, জুনাইদ আহমেদ পলককে যাত্রাবাড়ী থানার দুই ও শাহবাগ থানার এক মামলায়, সোলাইমান সেলিমকে যাত্রাবাড়ী, চকবাজার ও বংশাল থানার একটি করে তিন মামলায়, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ, বংশাল থানার দুই ও কোতোয়ালি থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে একই থানার দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
একই আদালত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জান্নাতুল ফেরদৌস হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের তিনদিন, লালবাগের আজিমপুর এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় কামরুল ইসলামের তিনদিন, সোলাইমান সেলিমের চারদিন, চকবাজারের চানখারপুল এলাকায় রাকিব হাওলাদারকে গুলি করে হত্যার মামলায় সোলাইমান সেলিমের আরো তিনদিন এবং যাত্রাবাড়ীতে সাইদুর রহমান ইমরান হত্যা মামলায় সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।