South east bank ad

নিয়োগ পেয়েই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার কথা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

 প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন   |   বিচার বিভাগ

নিয়োগ পেয়েই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার কথা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

রোববার দুপু‌রে আন্তজা‌র্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাম‌নে সাংবা‌দিক‌দের ব্রিফিংকা‌লে এ কথা ব‌লেন তিনি। শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পান আলোচিত আইনজীবী তাজুল ইসলাম। দায়িত্ব পাওয়ার পর আজই প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অ্যাডভোকেট তাজুল।

সাংবা‌দিক‌দের প্রশ্নের জবা‌বে তি‌নি জানান, ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন কাজ সম্পন্ন হলেই শেখ হাসিনার গ্রেফতার চাওয়া হবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার আমলে সিস্টেমেটিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, গণহত্যা করেছে, তারই বিচার করতে প্রসিকিউশন টিম পুনর্গঠন করা হচ্ছে। প্রসিকিউটর টিম ক্রমান্বয়ে বাড়বে।

দায়িত্ব সম্পর্কে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম কাজ হবে, গণহত্যার আলামত সংগ্রহ করা। যা নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে দোসররা। কারও কাছে গণহত্যার কোনো আলামত থাকলে তা ট্রাইব্যুনালকে জানানোর অনুরোধ করেন চিফ প্রসিকিউটর।

তাজুল ইসলাম জানান, ট্রাইব্যুনালে বিচারের মাধ্যমে আসামিপক্ষও যেন ন্যায়বিচার পায়, সেটিও খেয়াল রাখবে প্রসিকিউশন।

তিনি বলেন, তদন্তকালীন প্রয়োজন মোতাবেক গুরুতর আসামিদের গ্রেফতার চাইবে প্রসিকিউশন। আসামিরা কেউ যেন দেশত্যাগ করতে না পারে সেটিও খেয়াল থাকবে।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোক, সাবেক আইজিপি হোক, সবাই একই পর্যায়ের আসামি বিবেচনা হবে। আগের সময়ে যেভাবে বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছিল সেরকম যেন আর না হয়, সেটিও লক্ষ্য থাকবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তি আছে বন্দি বিনিময়ের।

তিনি জানান, গণহত্যার সময় গণমাধ্যমে দেখানো ফুটেজ তথ্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

তিনি বলেন, এভিডেন্স কালেক্ট করা প্রধান চ্যালেঞ্জ। সারাদেশের আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু হবে আগে। যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।

BBS cable ad