চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এর নেতৃত্বে সুশৃঙ্খলভাবে চলছে র্যাবের কার্যক্রম

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এর নেতৃত্বে সুশৃঙ্খলভাবে চলছে র্যাবের কার্যক্রম। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম, পিপিএম ১৯৬৪ সালের ১২ই জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা থানাধীন শ্রীহাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। বিসিএস ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে ১৯৮৯ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তার দীর্ঘ বর্ণিল চাকুরীজীবনে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডিএমপির সহকারী কমিশনার, এপিবিএন এর এএসপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলায় সার্কেল এএসপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে চাঁদপুর জেলায় এবং ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এর মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) ও পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (সংস্থাপন) এবং এআইজি (গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে ঢাকা রেঞ্জে এবং ডিআইজি হিসেবে ডিআইজি (অপারেশনস্), ডিআইজি (প্রশাসন), রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে ময়মনসিংহ রেঞ্জ এবং ঢাকা রেঞ্জের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনি এডিশনাল আইজিপি (এইচ আর এম) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। র্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি সিআইডি প্রধান হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ পুলিশে অসামান্য অবদান এবং অনন্য সেবাদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি ‘‘বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল’’ (বিপিএম) এবং ‘‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল’’ (পিপিএম) পদকে ভ‚ষিত হন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, লাইবেরিয়া এবং দারফুরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি দেশ-বিদেশের বেশ কিছু মর্যাদাপূর্ণ পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ভ্রমণ করতে ভালবাসেন। বিশ্বের প্রায় ত্রিশটি দেশ তিনি ভ্রমণ করেছেন। জনাব চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং তার স্ত্রী ডাঃ তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী দম্পতির দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।