South east bank ad

পাসপোর্ট সমস্যার সমাধানের আশ্বাস ৩ দিনের মধ্যে

 প্রকাশ: ১২ অগাস্ট ২০২১, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন   |   পাসপোর্ট অফিস

পাসপোর্ট সমস্যার সমাধানের আশ্বাস ৩ দিনের মধ্যে
ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট সেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্রবাসীরা। তবে আগামী ৩ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) কাজটি পেয়েছিল মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান আইরিস করপোরেশন। সেখানে ৩ কোটি পাসপোর্টের চুক্তি ছিল। তবে সম্প্রতি সেই ৩ কোটি আঙুলের ছাপ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর নতুন করে আর পাসপোর্ট ছাপা যাচ্ছিল না। ফলে সার্ভারের ত্রুটির কথা উল্লেখ করে কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, লেবানন, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশের পাসপোর্ট সেবা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সেখানকার হাইকমিশন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনের পর ধারণা করা হচ্ছিল এই সময়ের মধ্যে পুরোটাই ই-পাসপোর্টে চলে যাবে। কিন্তু করোনা কারণে বিভিন্ন দেশে ই-পাসপোর্টের মেশিন বসাতে না পারায় এখন বাড়তি সময় এমআরপি দিয়ে কার্যক্রম চালাতে হবে। তাই ধারণক্ষমতার বেশি পাসপোর্ট ইস্যুর আবেদন পড়ায় নতুন করে প্রিন্ট করা যাচ্ছিল না।

তারা আরও জানান, পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে বিদেশি একটি কোম্পানির চুক্তি ছিল ৩ কোটি পাসপোর্টের। সেই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সীমা অতিক্রম হয়ে গেছে। সঙ্কট সমাধানে ফের আইরিসের সঙ্গে আরও ৬০ লাখ এমআরপির বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হয়। এখন আশা করা যাচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নতুন মহা-পরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এমআরপি পাসপোর্টটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ই-পাসপোর্ট চালু করতে পারিনি বিধায় এমআরপিকে বেশিদিন চালাতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করেছেন, তাই এটাতো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এমআরপিতো এখন অতিরিক্তভাবে চালাতে হচ্ছে। এটাতো জোড়াতালি দিয়ে চালাচ্ছি। অনেক কিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই অতিরিক্ত সবকিছু বাড়াতে হবে। তাদের সঙ্গে মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্ট বাড়াতে হচ্ছে। পাসপোর্ট এমআরপি কিনতে হচ্ছে। পাসপোর্ট আমরা ইতোমধ্যে কিনে ফেলেছি, মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্টও বাড়িয়ে ফেলছি। এটার যেসব জিনিস লাগে জার্মানি থেকে সেগুলো কিনেছি।’

‘ওনারা (হাইকমিশন) ঠিকমতো লিখতে পারেনি, এটাকে এফিস বলে। এফিসের একটা ক্ষমতা থাকে সেটাও বাড়াতে হয়, সেটারও নতুন চুক্তি হচ্ছে জার্মানির সঙ্গে। কাজগুলো করার জন্য পাসপোর্ট প্রদানে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আমরা ৪০ লাখ পাসপোর্ট কিনে ফেলেছি, ২ বছরের কন্ট্রাক্ট করে ফলেছি। আরও ২ বছর যাতে কালি কনজ্যুমেবল (ব্যবহার উপযোগী) থাকে সে বিষয়ে অলরেডি কন্ট্রাক্ট করেছি, টেন্ডার হয়েছে। এগুলো আসলে আমরা মেইনটেইন করি না, এগুলো মেইনটেইন করে আইরিস এক্সপার্টরা। ওরা যখন বলে এটা শেষ হয়ে গেছে, এটার নতুন কন্ট্রাক্ট করেন তখন আমরা কন্ট্রাক্ট করি। সেরকম একটি কন্ট্রাক্ট আমরা করেছি। আরেও দু-একটি বললে সেগুলো করতে হবে আমাদের।’

‘করোনার কারণে ই-পাসপোর্ট চালু হতে না পারলে ততদিন পর্যন্ত এমআরপি চালু রাখতে হবে। দেশের মধ্যে কিন্তু এমআরপি লাগছে না, কিন্তু ওখানে (অন্য দেশ) যেতেই পারছি না তাহলে মেশিন কিভাবে হবে? তার মানে মরা জিনিসটাকে কিছুদিন তাজা রাখতে হবে। এই তাজা রাখতে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস ব্যাহত হয়। কিন্তু মূল বিষয় হলো ওরা (হাইকমিশন) যেটিকে ধারণক্ষমতা বলেছে, সেটিকে বলে এফিস, সেটা আমরা আরেও ৫০ লাখ বাড়াচ্ছি তাদের পরামর্শে। তবে সেটা পাসপোর্ট সংখ্যা ৫০ লাখ নয়, ৫০ লাখ ইউনিট বাড়িয়ে দিচ্ছি’—মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা একটা টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল। সেটা অলরেডি সলভ হয়ে গেছে। আজকেই ওয়াশিংটনের কিছু কিছু জায়গা থেকে পাসপোর্ট প্রিন্টটা স্টার্ট হয়ে গেছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে অন্যান্য জায়গায়ও প্রিন্ট হবে। অলরেডি আমরা ধারণক্ষমতা বাড়িয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়। এটা সলভ হয়ে গেছে। ৩ দিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পাসপোর্ট তারা (প্রবাসীরা) পেয়ে যাবেন। প্রিন্ট যেটা বন্ধ ছিল সেই প্রিন্টের কাজটি স্টার্ট হয়ে গেছে।’

BBS cable ad

পাসপোর্ট অফিস এর আরও খবর: