সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার (৯ জুলাই। সাহারা খাতুন নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ আসনের সদস্য (এমপি) ছিলেন। ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ তিনি ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। শিক্ষাজীবনে তিনি বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি আর্জন করেন এবং রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০২০ সালের ৯ জুলাই সাহারা খাতুন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন অস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন।
ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আইন পেশায় আসার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগের মহিলা শাখা গঠিত হলে তাতে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচিতে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
তিনি প্রথমে ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে মহিলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদিকা এবং একই সঙ্গে নগর আওযামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-আইন সম্পাদিকা, পরে তিনি আইন সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। তিনি পরবর্তী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবেই ছিলেন।
ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, আইয়ুব-ইয়াহিয়া বিরোধী আন্দোলন, দেশ স্বাধীনের আন্দোলন, ৭৫ সালের পর অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং খালেদা জিয়ার নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন করেছেন রাজপথে। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে হরতাল, সভা-সমাবেশ করতে গিয়ে একাধিকবার গ্রেফতার এবং নির্যাতিত হয়েছেন।
এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচিত হন। এর পর প্রথমে তিনি স্বরাষ্ট্রামন্ত্রী ও পরে ২০১২ সালে মন্ত্রণালয়ের রদবদল ঘটলে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।