শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ মাউশির
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড বেড়ে চলেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানা, বাজার, এমনকি আবাসিক ভবনেও আগুনের লেলিহান শিখা কেড়ে নিচ্ছে মূল্যবান জীবন ও সম্পদ। এসব অগ্নিকাণ্ডের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং মাঠ পর্যায়ের অফিসে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস ত্যাগের আগে বৈদ্যুতিক সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) মাউশির প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনাটি দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, “অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অফিস ত্যাগের আগে নিজ নিজ রুমের ফ্যান, লাইট, কম্পিউটার ও এসির প্লাগ খুলে রাখতে হবে। এতে একদিকে যেমন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমবে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ অপচয়ও রোধ হবে।”
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, “অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস ত্যাগের সময় বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান ও এসি বন্ধ করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করবেন।”
সম্প্রতি সারাদেশে পরপর বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই নির্দেশনা জারি করা হলো। গত ১৪ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ আগুনে ১৬ জন নিহত হন। এরপর ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায় আগুন লাগে, যা প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সবশেষ ১৮ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা ২৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভে যায়।
এসব ঘটনার পর নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলেছে মাউশি।


