South east bank ad

ফসিল ফুয়েল হতে ক্লীন এনার্জির সফল ট্রানজিশনে প্রয়োজন সমন্বিত ও সম্মিলিত উদ্যোগ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৭ অপরাহ্ন   |   মন্ত্রী

ফসিল ফুয়েল হতে ক্লীন এনার্জির সফল ট্রানজিশনে প্রয়োজন সমন্বিত ও সম্মিলিত উদ্যোগ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ফসিল ফুয়েল হতে ক্লীন এনার্জির সফল ট্রানজিশনে প্রয়োজন সমন্বিত ও সম্মিলিত উদ্যোগ।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার রীতি এক এক দেশে একেক রকম। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সোলার পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু সুনির্দিষ্ট  চ্যালেঞ্জ রয়েছে। 
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রচুর জমি লাগে যা বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বড় আকারে সোলার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দূরুহ। প্রযুক্তির অবাধ বিচরণ ও গবেষণার দ্বারা এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা যেতে পারে। 

নসরুল হামিদ আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুদাবিতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স’র (আইএসএ) এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির পঞ্চম সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। 
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন, জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিতে সরকার নানাবিধ নীতি ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমন্বিত মহাপরিকল্পনা, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান, সোলার এনার্জি রোডম্যাপ, সোলার ইরিগেশনের রোডম্যাপ ও নাবায়ণযোগ্য জ্বালানি পলিসির আওতায় নাবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সোলার ইরিগেশন পাম্প, সোলার স্ট্রীট লাইট, সোলার ড্রিংকিং ওয়াটার সিষ্টেম, সোলার মিনি গ্রীড, বায়োমাস প্ল্যান, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ ইত্যাদিতে ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিষ্টেমের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন লোককে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। যা ওই এলাকার লোকদের জীবনযাত্রার মান ও কমিউনিটির ক্ষমতায়ণে বিশেষ অবদান রাখছে।

 তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জ্বালানির প্রতি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে দশটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। যার জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চলে গেছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ও অন্যদের বিনিয়োগে উৎসহিত করতে আইএসএ’র কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে ২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে প্রায় ১০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যদিও নবায়ণযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা এখন প্রায় ১,২০০ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আইএসএ’র এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির পঞ্চম সভায় অংশ গ্রহণ করছে।
প্রতিনিধিদলের অপর দুই সদস্য হলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডল।

বাংলাদেশ আইএসএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী সোহাইল মোহামেদ আল মাঝরোই, আইএসএ’র মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুরসহ এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধির প্রধানরা বক্তব্য রাখেন।
BBS cable ad

মন্ত্রী এর আরও খবর: