South east bank ad

পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক

 প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন   |   মন্ত্রী

পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক কারনে পানি ভাগাভাগিতে দুই দেশের স্বাক্ষর চুক্তিভিত্তিক খুব জটিল হয়ে গেছে। মানবিক প্রয়োজনের কাছে রাজনৈতিক কোনো প্রশ্ন শোভা পায় না। শিগগিরই আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।

বুধবার রাজধানীর গ্রিন রোডের পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ বিষয়ক বিশেষ সেমিনার তিনি এসব কথা বলেন

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আন্তর্জাতিক নদীর ক্ষেত্রে কোনো দেশেরই এমন কথা বলার সুযোগ নেই যে এই নদী শুধু আমারই। আমার মানুষদের পানি দিয়ে পরে আমি অন্য মানুষের কথা ভাবব, এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নদীতে আমার ভাগের একটি হিসাব রয়েছে। আমরা পানির এই হিস্যা নিয়ে জনমানুষের কথা শুনে আলোচনার পয়েন্টগুলো নির্ধারণ করব। আমরা অবশ্যই ভারতের সঙ্গে বসে এসব বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব। আলোচনার সূত্রপাতে আমরা খুব দেরি করব না, শিগগিরই করতে চাই। তবে এই মুহূর্তে আরও কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণে এটির (ভারতের সঙ্গে আলোচনা) হয়ত আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।

সেমিনারে আন্তঃসীমান্ত নদী রক্ষায় বেশকিছু সুপারিশ ও দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশ গুলো হচ্ছে-

১. জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে পুনরায় গঠন করে দেশের অভ্যন্তরে ও প্রতিবেশী দেশের সব আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

২. বিদ্যমান গঙ্গা চুক্তিটি সংশোধন করে নবায়নের বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা। সেইসঙ্গে নতুন চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লোজ রাখা। বাংলাদেশ অংশে প্রবাহিত পানির পরিমাণ প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

৩. তিস্তা চুক্তি করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। গঙ্গা-যমুনা-মেঘনা অববাহিকা অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পানি কূটনীতিকে বাংলাদেশের সব কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে উদ্যোগ নেয়া।

৪. অবশিষ্ট আন্তঃসীমান্ত নদী খুঁজে বের করে স্বীকৃতির দাবি জানানো। আন্তর্জাতিক আদালতে সব আন্তঃসীমান্ত নদীর অধিকার আদায়ের জোরালো দাবি তোলা। দ্বিপাক্ষিক ও বহু পাক্ষিক চুক্তি করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ জাতিসংঘের নদী কনভেনশন (১৯৯৭) সনদে বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষর করা ও যৌথ নদী কমিশনকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দিয়ে সক্রিয় করা।

একইসঙ্গে আন্তঃসীমান্ত নদী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আন্তঃসীমান্ত নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের শিল্প দূষণ বন্ধ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়া, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা, পানি-পলি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃসীমান্ত বাঁধের প্রতি গুরুত্বারোপ করতেও সুপারিশ করা হয়েছে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা ও পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস প্রমুখ।

BBS cable ad

মন্ত্রী এর আরও খবর: