বোরহানউদ্দিন সাচড়া ৩৬ বছরের দখলীয় দোকান ঘর ভাংচুর করে জবর দখলের অভিযোগ
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি
ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আমাদের বাড়ী’র দরজায় কাচারিহাটে ৩৬ বছরের বেশি সময় ধরে দোকান উত্তোলন করে দোকান ভাড়া দিয়ে আসছি।
ওই জমি’র বর্তমান মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভে পড়েন আমাদের বাড়ী’র মো.রুহুল আমিন মোল্লা, মোছাদ্দেক মোল্লা ও ফজলে রাব্বি গংরা। এরপর ওরা আমাদের উপর নানা অত্যাচার ও নির্যাতন চালায়।
আজ রবিবার (২০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলেন মো. শামীম মোল্লা (৩৮)। তিনি লিখিত অভিযোগে আরোও জানান, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখে ওই দোকান ঘরটি ভেঙ্গে একই স্থানে ইট,বালি দিয়ে জোর পূর্বক দোকান ঘর উত্তোলন করেন মোছাদ্দেক মোল্লা গংরা।
আমার পিতা বাদী হয়ে এডিএম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩২৮/২০২১ ইং। ওই মামলায় ওসি বোরহানউদ্দিন কে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে মোসাদ্দেক গংরা দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেন। তখন এমপি ১৯৭ মামলা করি। যাহা ডিবি তদন্ত সাপেক্ষে সত্য প্রমানিত হলে ২৯৭ মামলায় রুপান্তির হয় এবং বিবাদীগনের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়।
ওই সময় তারা আগাম জামিন নেন। বর্তমানে মামলাটি জর্জ কোর্টে চলমান রয়েছে। তিনি আরোও জানান, এরপরও বিবাদীরা হুমকি দুমকি দিলে ভোলা কোর্টে একটি সাত ধারা মামলা করি যার নং ৮২/২১ এবং বোরহানউদ্দিন থানায় একটি জিডি করি যার নং ৭২৬/২১। এছাড়াও দেওয়ানী ১০১ মামলা চলমান রয়েছে।
তিনি আরোও জানান, গত বৃহস্পতিবার আবারোও দোকানের পিছনের গাছ পালা কেটে দোকান ঘর বৃদ্ধি’র কাজ করে। ওই ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দিলেও এস.আই মো. মোস্তফা মনির ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। ওই ঘটনায় মোছাদ্দেক গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের সামনে মসুলিদের সামনে আমার পিতা আ: মান্নান মোল্লা ও ভাই শাহিন কে এলোপাতারি মারধর করে গুরুত্বর আহত করেন।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে এনে চিকিৎসা সেবা দেন। আমার পিতা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ভাই শাহীন প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় আমার বাবা আ: মান্নান বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
তিনি আরোও জানান, বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ওরা অসুস্থার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের চেষ্টা করছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, উভয় পক্ষ হতে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।