বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ফল প্রকাশ করা হয়নি। সভাপতি পদে ওমর ফারুকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আবু জাফর সূর্য। সভাপতি পদে ওমর ফারুক পেয়েছেন ১ হাজার এক ভোট। আর আবু জাফর সূর্য পেয়েছেন ৬৮১ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল জলিল ভূঁইয়া পেয়েছেন ৪১৫ ভোট।
মহাসচিব পদে দীপ আজাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লায়েকুজ্জামান। চট্টগ্রাম বাদে মহাসচিব পদে দীপ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৪ ভোট। লায়েকউজ্জামান পেয়েছেন ৪৪৯ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আবদুল মজিদ।
এ বছর সভাপতি পদে তিনজন ও মহাসচিব পদে তিনজন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএফইউজের তিনবারের নির্বাচিত মহাসচিব ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য ও বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক।
আর মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ ও দৈনিক কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক লায়েকুজ্জামান। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খায়রুজ্জামান কামাল, নজরুল কবির ও মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
বিএফইউজের নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৯৮০ জন। এরমধ্যে ঢাকায় রয়েছেন দুই হাজার ৯৭৭ জন।
সভাপতি, মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষ এ তিন পদ ছাড়াও এবারের নির্বাচনে ঢাকা থেকে সহ-সভাপতি পদে পাঁচজন, যুগ্ম-মহাসচিব পদে চারজন, দপ্তর সম্পাদক পদে ছয়জন ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও বাকি নয়টি ইউনিট থেকে সহ-সভাপতি, যুগ্ম মহাসচিব, নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে লড়ছেন প্রার্থীরা। এরমধ্যে কিছু পদে কয়েকজনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান সরদার বলেন, প্রার্থী ও এজেন্টদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাক্স দেখিয়ে ভোটগ্রহণ হয়। দিনব্যাপী উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রফিকুল ইসলাম, আশিস সৈকত, মহসিন আব্বাস ও শাহনাজ সিদ্দীকি।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জে ১০টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৮০ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৭৭ জন ঢাকার। ঢাকায় ১৯টি বুথে ভোট নেওয়া হয়।
নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য শ্রম অধিদপ্তর থেকে ঢাকা কেন্দ্রের জন্য দুজন এবং ঢাকার বাইরের কেন্দ্রের জন্য একজন করে প্রতিনিধি নিযুক্ত ছিলেন।