ডব্লিউএইচওর অনুমোদন পেল কোভ্যাক্সিন
ভারতে সম্পূর্ণভাবে তৈরি ও উৎপাদন করা প্রথম টিকা কোভ্যাক্সিন ডব্লিউএইচও’র অনুমোদ পেয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এটি হচ্ছে ভারতীয় বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা জরুরি ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এ সংস্থা বলেছে, ‘চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ ব্যবহার করে এ টিকার ৭৮ শতাংশ কার্যকারিতা দেখ গেছে। ভ্যাকসিনটি মজুদ করার প্রক্রিয়া সহজ হওয়ার কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোরর জন্য খুবই ভাল।’
অক্রিয়াশীল করোনাভাইরাস এন্টিজেনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা এটি ডব্লিউএইচও’র তালিকাভূক্ত কোভিড-১৯ নির্মূলের অষ্টম ভ্যাকসিন। সংস্থাটির অনুমোদন দেয়া অন্য ভ্যাকসিনের মধ্যে রয়েছে ফাইজার/বায়োএনটেক, মডার্না, অ্যাস্টোজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্মা ও সিনোভ্যাক।
এক্ষেত্রে ডব্লিউএইচও’র জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন ভ্যাকসিনগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোরদার করতে পারে।
তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এসব ভ্যাকসিন ব্যবহারেরও অনুমোদন দেয়।
গত জানুয়ারিতে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলার মধ্যেই এটি অনুমোদন করেছিল ভারতের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এতে টিকাটির কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ এবং সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
সেই সময় থেকে এতোদিন ভারতে টিকাটি প্রয়োগ হয়ে আসলেও এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছিল না। জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে।