মানিকগঞ্জের ঘিওরে সেই হাবুকে দেখতে এলেন এসপি গোলাম আজাদ

মানিকগঞ্জের ঘিওরে সেই মানসিক ভারসাম্যহীন হাবুকে দেখতে এলেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা গ্রামে ২০ বছর যাবত রশিতে বাধা হাবিবুর রহমান হাবুর বাড়িতে হঠাৎ করে হাজির হলেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম আজাদ খান।
গত (২৪ সেপ্টেম্বর) ২১ ইং কয়েকটি পত্র পত্রিকা ও অন লাইন নিউজ পোর্টাল ও অনলাইন টিভিতে ‘২০ বছর যাবত রশিতে বাধা হাবু‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে সরেজমিনে হাবুর বাড়ি পরিদর্শনে আসেন তিনি।
৩৪ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী হাবু। কথাও বলতে পারে না সে। চোখের আড়াল হলেই অন্যদিকে চলে যায়। বাধ্য হয়ে রশি দিয়ে বেঁধে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন পঞ্চাশ উর্ধ মা সামেলা বেগম।
হাবিবুর রহমান হাবুর বাড়ী ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের পয়লা গ্রামে। পিতা মোঃ মন্জুর আলী দিনমজুর। এখন অসুস্থ হয়ে কর্মহীন। মা সামেলা বেগমও নানা অসুখে ভুগছেন। ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না তিনি।
ছেলেটির পায়ে রশি দিয়ে গাছে বাধা। হাবুকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখার কারণ জানতে চাইলে সামেলা বেগম বলেন, প্রায় বিশ বছর ধরে হাবুকে বেধে রেখেছি। তিনি আরো বলেন তাঁর ছেলে একবার হারিয়ে যায় প্রায় পনের দিন পর খুঁজে পান তাকে। এরপর থেকে হারিয়ে যাবার ভয়ে নিরুপায় হয়ে ছেলেকে বেঁধে রাখেন।
এসময় মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম আজাদ খান বলেন। আমরা হাবুর বাড়িতে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো যাতে করে তাকে আর বাহিরে থাকতে না হয়। তিনি আরো বলেন প্রতি মাসে তার চিকিৎসা বাবদ কিছু আর্থিক সহয়তা করব। এছাড়া আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ওর চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করব।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন- শিবালয় সার্কেল তানিয়া সুলতানা, ঘিওর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব, পয়লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হারুন অর রশিদ প্রমুখ।