South east bank ad

জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন : কোথা থেকে আয়, ব্যয় হবে যেখানে

 প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ১০:৪২ অপরাহ্ন   |   দেশ

জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন  : কোথা থেকে আয়, ব্যয় হবে যেখানে



বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় অধিবেশন শুরুর পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার তৃতীয় বাজেট। নতুন অর্থবছরের (২০২১-২০২২) জন্য ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অর্থ কোথা থেকে সংগ্রহ হবে তাও বলা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।  ​বাজেটের অর্থ সংগ্রহের খাত হিসেবে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যা বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের চেয়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি।

মোট আয়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) অনুমোদন হয়েছে এডিপি।
এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হবে পাঁচ হাজার এক কোটি টাকা। বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।

এদিকে বাজেটে অনুদান ব্যতীত ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.২ শতাংশ। অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হচ্ছে দুই লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.১ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। আর জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেবে ৩২ হাজার কোটি টাকা।



প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক বরাদ্দ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ৭০ হাজার ৫১০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। মানবসম্পদ খাতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাত) বরাদ্দের পরিমাণ ধরা হয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। ভৌত অবকাঠামো খাতে ধরা হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা বাজেটের ২৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে খরচ হবে ৭৪ হাজার ১০২ কোটি টাকা, যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৬৯ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। সাধারণ সেবা খাতে খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব, বিভিন্ন শিল্পে ভর্তুকি, রাষ্ট্রায়ত্ত, বাণিজ্যিক ও আর্থিক খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। সুদ পরিশোধ বাবদ ৬৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা ও নিট ঋণদান পাঁচ হাজার ১০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

BBS cable ad