সাবেক আইনমন্ত্রীসহ ৪ জনের নামে দুদকে অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের আদালতে ৩৪ জন কর্মচারীর নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিরাজগঞ্জের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ (বর্তমানে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ) ফজলে খোদা নাজিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জ জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে ৩৪ জন কর্মচারীর মধ্যে ২২ জনই ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সিরাজগঞ্জের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির, নিয়োগ কমিটির সভাপতি তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. সালমা খাতুন, নিয়োগ বাছাই ও পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য তৎকালীন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তানভীর আহম্মেদ ও সিরাজগঞ্জ সদরের সিনিয়র সহকারী জজ নিজাম উদ্দিন ফরাজীর যোগসাজশে ওই নিয়োগে ব্যাপক আর্থিক লেনদেন করেন।
আদালতের মতো একটি জায়গায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পছন্দের ব্যক্তিদের খাস কামরায় বসিয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় নিয়োগ বাতিল করে সাবেক আইনমন্ত্রীসহ চার বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তারা।
অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- তৎকালীন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক) মোছা. সালমা খাতুন, সিরাজগঞ্জের তৎকালীন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তানভীর আহম্মেদ ও তৎকালীন সিনিয়র সহকারী জজ নিজাম উদ্দিন ফরাজী।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, আমি নিজে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ চার বিচারকের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, আপনার অভিযোগের বিষয়ে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে শুনেছি। তবে এখনো কোনো কপি আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগের কপিটা হাতে পেলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করব।