ঢাকায় প্রতি মাসে ২০ খুন, ৪১ ছিনতাই : ডিএমপি

গত ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ঢাকা মহানগরের ৫০ থানায় ৩৩টি ডাকাতি, ২৪৮টি ছিনতাই, ১২১টি খুন এবং ১ হাজার ৬৮টি চুরির মামলা হয়েছে। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ২০টির বেশি খুন, পাঁচটি ডাকাতি ও ৪১টি ছিনতাই মামলা রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া মাসে ৭০টি চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএমপি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কেউ যদি চেষ্টা করে তাহলে তাদের আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করা হবে। এর বাইরে গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছি।
তিনি জানান, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর পুলিশ নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এরই অংশ হিসেবে টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপিতে ৪৪১টি টহল টিম মোতায়েন ছিল। এর মধ্যে দিনে ২৫৯ ও রাতে ২২১টি। ফুট পেট্রোল ২২১টি, মোটরপেট্রোল ২৭টি।
এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়াশি অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ডাকাত, চোর, মাদক কারবারি ও পরোয়ানভুক্ত আসামি রয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযানে মোবাইল ও নগদ ১৩ হাজার টাকা, মাদক উদ্ধার করা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
গতকাল ডিবি ওয়ারির একটি টিম ১২৩টি চোরাই মোবাইলসহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদপুরের কিশোর গ্যাং কব্জি কাটা গ্রুপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই কব্জি কাটা গ্রুপের আনোয়ারের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন-নিশাত ও রাসেল ওরফে পেস্টিং রাসেল।
এ ছাড়া গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির ঘটনায় ৫ জন রিমান্ডে রয়েছে। তাদের একজনের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা কলাবাগান থানায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানান মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।